রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বাঁক

আঁ-কা-বাঁ-কা
সবুজ মাঠের পথ ধরে হেঁটেছি কেবল, উজান ভাটির ব্যাকরণে
শুনি নাই
জলের কাকলি।(…)
এটুকু বুঝিনি, কতটা আঘাত পেলে বাঁক নেয় নদীটির মন,
অভিমানে সরে সরে যায় নদীয়ার কূলে,
জলজ ভাষায় ভেসে ভেসে যায় কাঁখের কলসি,
কূলের কথনে ভেসে ভেসে যায় ঘাটের কাহন, মরমিয়াগাথা...
মন,
বাঁকানোর আগে ভালো করে জানো,
কতটা বাঁকালে বাঁক খায় শ্যামল কটাক্ষভরা চোখের ধনুক,
শরের যোজনা থেকে পলকে পালায় বাক্যের হরিণ!
কথার কাননে
কী ‘ভাবে’ বাঁকাবে সাধের জীবন;
তাহার বয়ানে জানো,
              পথের আদলে বহা নদীটির আঁ-কা-বাঁ-কা ইতিহাস!...



কম কথার মানুষ

সাধুটি/
একসময়/
আমার কাছে এসে/
কানে কানে বলেছিলেন/
শব্দই/
পরম ব্রহ্ম/
অপচয় করো না/...
সেই থেকে আমি/ কম কথার মানুষ/
ইশারায়/
ইঙ্গিতে/
চোখের ভাষায় কথা বলি/
শব্দ করি না/
বলছি তবুও/
রঙিন কথার ফুলঝুরি/...


চাঁপাফুল


নহে চাপাবাজ/
এই বলে খ্যাত হোক/ মম নাম চাঁপাফুল/...

ইটের ফোকর থেকে/
সূ্র্য্যের আলোর দিকে উঁকি দেয়া/
চাপাপড়া/
সাদা সাদা ঘাস জানে/
থরে ও বিথরে ফুটি বর্ষার ইন্ধনে/...

দলিত কথার জিহ্বায়/ বোঁটায়/
এই বলে খ্যাত হোক/ মম নাম চাঁপাফুল/ নহে চাপাবাজ/...


নবনীতা জলের বোধন

নবনীতা 
জলের বোধনে যে নিজেকে ভেজায় না,
সে
সংঘাতকে জাগাতে জানে না!...
যে সংঘাতকে ভালোবাসে না, সে সম্ভাবনাকে বলতে পারে না,
ভা-লো-বা-সি!...
ভুল ও ফুলের
গলায় গলায় ভাব,
পরাগায়নটুকুর অনুধ্যানে হতে পারে না পথের সমাজদার!...
এইটুকু
ভেবে ভেবে হাঁটছিলাম, মৌমাছির ইন্ধনে!...
হঠাৎ মনে হলো,
[............................]
তুমি
যে শূন্যস্থানটুকু পূর্ণ না-করে চলে গেছ, সেখানে লিখেছিলাম, সম্ভাবনা...
শুভ,
দ্বন্দ্ব-সংকুল পথে যেতে যেতে
ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছি সংঘাতে, পরিপার্শ্ববিশ্বে!...

পরিবর্ত্তনা চৌধুরানি

জংলা নদীর ধারে
ধ্যানী বক,
আমাকে ধর্ম্মের শিক্ষা দেয়,
কেমন ভাবের মর্ম্মে
দাঁড়িয়ে থাকতে হয়,
এক পায়ে;
যেমনটি আছে মাননীয় তালগাছ!
পাঠশালা,
ধর্ম্মশিক্ষা জানে,
বারবার
লাড্ডু খাওয়া আমি!
রসার্থে সন্ধান করি
ভবাপাগলার মালাই বিতান!
মাড়াই পথের মোড়
নিতাইগঞ্জের।
জংলা নদীর ধারে
(ধ্যানী বক
করমে ন জানে ধরম বিতান!)
অকূলে বাজে গো বাঁশি
: ওহো
জয়ো রাধা> ধারা...
ভাঙাগড়া
নদীটির মনে
বহতা সুরের ঢেউউউ…
কাঁখের কলসে বাজে
ছলাৎ… ছলাৎ… পরিবর্ত্তনা চৌধুরানি!



শরীর শরীফ

শরীর
কেবল শরীর না, ইহা শরীর শরীফ!...
শরীর শরীফবিহীন হয় না প্রেম,
মজে না মজমা!
মন হলো
শারীরিক রসায়নের নূর-এ-কেবলা, আশেকান!
অতএব
নত হও ইবাদতে,
আচমন করো শরীরসমগ্র/জলজপ্রপাত!
মুর্শিদ,
বাহো ত্বরী, বাহো গো ত্বরি-কা,
লবণের অপার রহস্য খুঁজে পাবে শরীরসমুদ্রে!...



লাঙ্গলবান্ধব

পরমা প্রকৃতি জানে, পরমপুরুষে, লিঙ্গের কাহানি জানে শিবের লাঙ্গল!
অকর্ষিত মাঠে
‘এই
থি-তি থিতি’ বোলে
হালের বিছাল চষে হলরেখা, মাটির জনন!
(শিল্প হল অর্দ্ধনারীশ্বর, যাহার অর্দ্ধেক শিব
অর্দ্ধেক পার্ব্বতী!...)
মন রে, কৃষিকাজ জানো না, আনন্দসাধনে!
মেঘলা মনের চুম্‌বনে, জল ঝরঝর বরিষণে অভিভূত
চারণ কৃষক কালিদাস,
মাটির শরীরে দেয় শস্যজ ইশারা
ভূঁইয়া
বর্ষায় নেবে ভূমির পরশ, শ্রাবণে নিয়েছে পাঠ লাঙ্গলের ভাষা,
কতটা গভীরে ফলে শস্যজ শ্যামশ্রী!
শ্যামলিমা দিয়েছে যে মন
পলির নন্দনমাখা ভূমির দখল, দখলিয়া নদীর কিনারে!...
দূর বনে
পাখিটা ডাকছে থেমে থেমে
       কৃষ+ণ… কৃষ+ই… কৃষ+টি...

                  আহা! কৃষ্ণ কোথায় রে? রাধা, ধারাপাত পড়ে, লাঙ্গলের!


দণ্ডনীতি

‘গুরু’ সংখ্যায় লঘু, অথচ গুরু(ত্ব)বহ!
লঘুত্বের অপমান দেখে গুরু নির্ব্বিকার কেন?...
...
গুরুবাদী সংখ্যারা
ভয়ানক
কি জলে কি স্থলে!
চলছে চৌদিকে, লঘু-পাপে গুরুদণ্ড!...
অথচ ঈশ্বর, কী দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী সংখ্যালঘু!...



একটুখানি পরিচয়


বাপু,
এত সাদাকথা কও ক্যানে? একটু শ্যামলকথা কও,
অব্যক্ত বর্ষায় জুড়াক পরান!...
লোকমুখে শোনো নাই— এইখানে রমণীরা নয়ন পিঞ্জরে পোষে শ্যামসুখপাখি?
মওলার ইশকুলে পড়ো নাই— আমরা যে শ্যামলবরন জাতি?

সাদা না,
শ্যামল মনের মানস আমি;
দেখি, সময়ে সময়ে রং বদলায় প্রকৃতি ও প্রেম
এবং জীবন!
আরও দেখি, বিমুখ প্রান্তরে
আমারই মাঝে কারা যেন বলে ওঠে,
কালো হাত ভেঙে দাও!
যদিচ
নীরব কুটিরে
ঝুপ্... ঝুপ্... ঝুপ্...
নেমেছে উপনিবেশ, সাদা!
জানালায়
তাকিয়ে আছেন, আপনি, কোন মনের মানস?
মানসনন্দনে কেবল রঙের ছড়াছড়ি

দেখা হয় নাই নয়ন মেলিয়া, আড়ালে আড়ালে কে কাকে মাখায় রং!...

দাঁড়াও হে লাল

দাঁড়াও হে লাল/ এখানে দাঁড়াতে হয়/ এখানে হয়ত কিছু রয়ে গেছে/
নিবিড় বন্ধনে/
হৃদয়পুর থেকে মেহেরপুর/ যেতে যেতে দেখা/
সবুজের মাঝে/ লালের মাধুরী/ ধীরে ধীরে উঠে আসে/
সূর্য্যের স্বাক্ষরে/
সবুজের মাঝে মিশে মিশে/ লাল/ কতটুকু লাল থাকে/ জানে চিত্রলেখা/
দাঁড়াও হে লাল/
এখানে দাঁড়াতে হয়/ নিবিড় বন্ধনে/ দাঁড়াও চে/ একটু দাঁড়াও/ দাঁড়াও না ভাই/...

ভাড়া-টিয়া


পৃথিবী আমার মাটি, বাড়ি, শূন্যতা ছাউনি তার!

বাড়িটি তোমার নয়, তুমি ভাড়া-টিয়া, বাড়িহারা!
এমত কথার জীবনযাপনে,
আমার কোনও মাটি নেই! হাস্নাহেনার ঘ্রাণ ডাকেনি আমাকে
রাতের নির্জনে, ব্যালকনির হৃদয়ে।…
এই
নগরবিতানে,
শহরের কোলে, আমি মাটিহারা!
অথচ, সজল-বর্ষা-নামা মনের মাটিতে শিকড় গজায় কদমের চারা;
আমার কোনও শিকড়ের গান নেই!
ভূমির দস্যুতা শিখি নাই,
ভাবছি, বর্ষায় শিখে নেবো, শিকড়ের গান, সুষম বন্ধনে...
আজ
কাঁদায় আমাকে ঘাসফুলটির মাটি আছে,
আছে ফুটে থাকা সহজতা, আমার কোনও সহজতা নেই, প্রেম নেই!...



সান্ধ্যখবর / পত্রিকার হেডলাইন


সান্ধ্যখবর পত্রিকার হেডলাইন


সবুজ পাতার মিছিলের নীচে চাপা পড়ে মারা গেছে জীবন চৌধুরী।…
নজরদারিতে সবুজ সদন।… চোখবন্দি শ্রীমতি সবুজ পাতা।…
কারফিউ।… বন্দুকের ঘেউ ঘেউ।…
ঘুরছে কেউকাটা, টিকটিকি, ফেউ।… থেমে থেমে গেয়ে ওঠে গান, রাইফেল, স্টেনগান।…
পথে পথে ছড়িয়ে পড়ছে জরুরি সন্ত্রাস, গুপ্তহত্যা, রক্তজবার আহাজারি।…
হলুদসংঘ সদর ভবনের সামনে একঝাঁক তরুণের লিঙ্গ প্রদর্শন, লাঠিচার্জ।…
নিষেধ, বাহিরে আসা, কবরের ভিতরে থাকুন, পরবর্ত্তী ঘোষণা অবধি… বন্ধ পাখিদের পাঠশালা,
সবুজ পাতার পাঠশালা।…
নিষিদ্ধ ফুলের ঘ্রাণ, হাসি।… ‘মাত্রা’ দেখায়, দেখামাত্র হিম উদ্গীরণ, নো ম্যানস্, নো কমেন্টস্।…

নক্‌শিকথায় বোনা সুতোর কাহন, ফুলতোলা গাথা, প্রতি আজাজিল


প্রতিবীর,
আপনার লাগি মনে জাগে সহজ নামাজ! জীবনের উদ্ভাসে জাগা ভোরের ট্র্যাজেডি,
নয়নের জল
অনুবাদে, ঘাসের ডগায় জমে ফোঁটা ফোঁটা শিশিরের কান্না 
শোকরানা!
পাপের বিকাশে লুকায়িত ছিল, প্রবর্ত্তনা> মানবজীবন!
জ্ঞানবৃক্ষে
নিষিদ্ধ গন্দম না দেখালে মেলত না পাপড়ি> আদম ও হাওয়ার উপাখ্যান,
ছেলেটিকে দেখে মেয়েটির মনে ফুটত না কভু অনুরাগের বকুল,
সোনাঝরা ভোরে
নিশীথিনী আঁধারের সমাপনে মাওলানা বুলবুল গেয়ে উঠত না ভোরের আজান> সঙ্গীত>
প্রভুর প্রার্থনা... 
আপনা বিকাশে লুকায়িত ছিল পাথরের বুক চিরে নামা ঝর্ণা> নদী> সাগরের জল!
কালার বাঁশির সুরে
জীবনচরিত নদীটির বাঁকে বাঁকে বেজে ওঠা রাধিকার মন...
যত মত তত পথবাদে
মানবের
মন ও মননে খেলা করে ড. জেকিল, মি. হাইড কিংবা হাবিল কাবিল
ধন্য,
মানবজীবন বয়ে চলো, সাধের ত্বরণি পাবে না রে আরবাউলিয়ানায় গেয়ে ওঠে
পথের চৈতন্য, সাঁইজি লালন
পাখি সব করে রব আপনা কীর্ত্তনে!...
আপনাকে নমি, সহজ নামাজে… সৃজনব্যথায় জাগে ঝিনুকের কাতরতামুক্তার সুখজ সম্ভাবনা!
.................................
এইসব, 
কথার ফাল্গুন, সুরে সুরে বেজে ওঠে ভোরের বাঁশিতে, গাছের শাখায়, ফুলফোটা ভারে!


ফুলেরা পোশাক পরে না


হ্যাঁ!
খুলে ফেলুন স-ব-কি-ছু
ফুলেরা পোশাক পরে না! খুলুন, এ-ক-টু এ-ক-টু করে
..............   .....................   ............................................................
দেখুন আয়না,
কী চমৎকার, যেন ভোরের শিউলি, সদ্য ফোটা,
শিশিরভেজানো ঘাসপথে পায়ে পায়ে হেঁটে এসেছেন শিল্প!
বলছেন, শেষ কবে খালি পায়ে শিশির ছুঁয়েছেন?
ভাবুন বাজারমহলে আপনিই আয়না! 
ঘুরে দাঁড়ান,
একটু... হ্যাঁ… আ-রে-ক-টু...
আহ্, কেমন সুডৌলইদানীং আপেলের দাম ভালো!
মাথা নত করবেন না এদিকে তাকান, হ্যাঁ, চোখ রাখুন, চোখে...
এক চুমুক হাসুন, যেভাবে
খুকিরা ললিপপ চোষে… আর হাসে… এমনইইই…
..................
ঠিক আছে, চলবে এটুকু
এবার হাঁটুন, যেভাবে নদীরা বয়ে যায়, এঁ-কে-বেঁ-কে…
এ-ক-টু দোলান!বাহ, বেশ খাসা, দোলছে বাজার নাচের মুদ্রায়!
কমলায় নৃত্য করে, দোদুল দোদুল দোলে...
বাজার নৃত্য করে, বাজার বিত্ত করে, বাজার বৃত্ত করে!...
সভ্যতা!
আপনাকে চায় ভ্রমণ করুন, মুক্ত হাওয়ায়,
ভুলে যান পিছুলোক, পিছুকথা জানুক তাহারা, নতুন কথন
ফুলেরা
পোশাক পরে না!

ব্যপারীর হাটে… 
বি(শেষ)জ্ঞাপনে বাজে ঘ্যানর ঘ্যানর…
এইসব
কথার পাঁচালি…

চোরাবালিকেন্দ্র

সাগরসৈকতে/ মুক্তা কুড়ানো সকালে/
   আটকে গেলাম/ চোরাবালিকেন্দ্রে/…
      ফাঁদ/ ফাঁ-দ/ ফাঁ—দ/
        সরবে ছাড়ছি গলা/
          তবুও শোনে না কেউ/
            আমার সাধের দেহ/
               নিবিড় জড়িয়ে নেয়/ চূর্ণীবালির বলয়/
                 চোখের আবহে ভাসে/
                   নাউ/
                     রঙের পসরা নিয়ে/ ঢেউ ভাঙে/
                       দিকশূন্য/...
                         গভীরে/
                           তলিয়ে যেতে যেতে বুঝি/ আমাকে তোলার কেউ নেই/  
এই আমি ছাড়া/...



Ling(uistic) Shiva


It’s a penis
It’s a (Rainbow) pencil
It’s the creator of art and culture on the faculty of white paper!...
It’s a penis
It’s a pendrive
It can save many things of the love!...
It’s a penis
It’s a pen
It carries on the ‘Ism’ of the Ling(uistic) Shiva!...

It has colourful divine,
Colourful approach for going from zero to infinity!…
                    The Khajoraho, Konarok to know about it!...

Do you know?!…

সংশয় আছে


সময় ঝরছে
শিউলির পাপড়ির মতো টুপ... টুপ... টুপ...
সময় ঝরছে
শিউলির ঘ্রাণমাখা শীতের শিশিরে, পিন পতনের নীরবতা ভাঙে টুপ... টুপ... টুপ...

সময়ের জন্ম হয়েছিল ৭৭ সালে!
জন্মেই হেসেছিল, মতান্তরে কেঁদেছিল বেদনারাঙানো আনন্দবার্ত্তায়
কবে মারা যাবে
সংশয় আছে,
কেননা, সময় মারা যেতে পারে; সময়চেতনা মারা যাবে কি না সংশয়ে আছে সংশয়বাদীকুল
ভয়ে আছে কুলবধূ, সময় এবং তার অনুভূতিমালা
জেনে যায় কিনা সন্দেহবাদীকুল
সময়ের জন্ম হয়েছিল ৭৭ সালে… সংশয়ে… সন্দেহে… কংসমামার ঘরে...
সময় মরবে, তবে
সময়চেতনা মারা যাবে কি না সংশয় আছে
আপনারা,
কেমন আছেন জানাবেন, নিঃসংশয়ে! নিঃসন্দেহে! নিরসনদহে...

টুপ... টুপ... টুপ...
শিউলির পাপড়ি ঝরা শীতের সকালে
মাকড়সার জালে ধরা পড়ে আছে ফোঁটা ফোঁটা শিশিরের জলইতিহাসচেতনা, সময়,
পটভূমিকা!(...)

মিথিলা বোমাং


ঘাটে
লাগাও রে নাউ, কূলে লাগাও রে নাউ,
এই গাঙে
ভাসাইয়া দিছি সুবর্ণের ফুল। নাউ, ঘাটে লাগাও রে...

গাঙুড়বিধৌত মিথিলা বোমাং,
মায়ামৃগ
চঞ্চলা চোখের ঘুমে চাঁদের কপালে পরো জাগরণী টিপ!
গলায় কলসি বেঁধে
চাঁদমামা ডুবে গেছে কর্ণফুলির জলে
মধুচন্দ্রিমার সলিলসমাধিস্মৃতিবহ
কূলের কথন জাগা অলচতলচজলে, খোঁজো কি গোপনে হারানো কানের ফুল?
চাঁদের কলঙ্কধোয়া সুখে
ডুবে ডুবে জল খেয়ে প্রেমিক লুসাই,
খুঁজে ফেরে কর্ণফুল!
সকালে ডুবন্ত, বৈকালে ভাসমান,
নিঝুম নিশিতে
নৌকার চাতালে শুয়ে একা, আকাশে ওড়ায় চাঁদঘুড়ি!
আশার সরসি জলে,
আরো একবার
ভাসাও প্রমোদত্বরী!...


অপরাধ বিষয়ক


(.......................)
আমাদের
অপরাধটুকুর বর্ণনা…
মাত্রা…
লিখে রাখা যায় বিজ্ঞানপাতায়!...

সুন্দর মুহূর্তটুকু ফুটিয়ে তোলার জন্য
অপরাধটুকুর প্রয়োজন ছিল!...
বর্ষার কাজলপরা চোখে, বৃষ্টির মুগ্ধতা ঝরা
কিছু অপরাধ জমা থাক, কদমফুলের কাছে!...
এটুকু জানুক, ভোরের মানসি!
আরও জানুক,
অপরাধ
বিপ্লবের ধাত্রী, ফুল ফোটার ব্যাকরণ!
যারই মর্ম্মে কানাকানি, জানাজানি,
ভাবার্ত জীবন!...

আহা!...
সৌন্দর্য্যপিপাসা মনে খেলা করে  
অপরূপ অপরাধ
প্র-ব-ণ-তা!...

মনিহার


কে জানি প্রথম লিখল, বেদনার রং নীল!...
  অথচ
    সুন্দর একটি সকাল আছে
      নীল সমুদ্দুর চোখে!...
        ফেনিল লাবণ্য ছুঁয়ে দেখা মনে,
          নীলাপাথরের গায়ে/গাঁয়ে
            চিত্রল হরফে লিখলাম, প্রিয় মনিহার!...

দ্বন্দ্ব/ বন্ধ করো না জানালা


Dear,
I have an anti-creation for you,
Because,
You’re a creative river
Go ahead murmuring beside my window!
I have an anti-creation for you on the faculty of arts,
Before the rain comes!…

দ্বন্দ্ব/
বন্ধ করো না জানালা/
খোলা জানালায় ভাষা পায়/ বকুলের ঘ্রাণ/
জেগে ওঠে আদিগন্ত/ স্বপ্নভঙ্গ নির্ঝরের মন/.........

দ্বন্দ্ব/
বন্ধ করো না জানালা/
খোলা জানালার অভিবাদনায়/
বসে আছি/
নগরশোভিত/ ঘাসের সবুজ মনে/ একটি ললিত উত্তরণ/...............

দ্বন্দ্ব/
বন্ধ করো না জানালা/ 
বলো না কখনো/ প্রান্তে কিছু নাই/
খোলা জানালায় ভাষা পায়/
দূরের গাঁয়ের মেঠোমনে ফোটা/ বুনোফুলটির ঘ্রাণ/
বিশ্বলোক/..................

কেবল সংশয়ে বেঁচে থাকা যায় না


কোথাও না কোথাও
ছোট ছোট বিশ্বাসের ছায়া সুশীতল নীড় থাকা চাই,
কেবল
সংশয়ে বেঁচে থাকা যায় না!
এতো ভাবিস না রে পাগল, হদিশ পাবি না—
কূল নাই… কিনার নাই… এ ভবপারাপার…
তারচে
নির্জন নদীর কূলে যে বাঁশি বাজছে…
তুই
তার টানে মজে থাক্
মুরালীর সুরের সুতায়
ইচ্ছের আকাশে (রাধিকা’র শাড়ির আঁচলে) ওড়ে বেনীআসহকলা ঘুড়ি।
দেখতে পারিস,
মাকড়সাজালে জমে থাকা
টলোমলো ফোটায় শিশিরের লাবণ্য, কুয়াশার সংসার, বিশ্বরূপ!…
এতো ভাবিস না রে পাগল,
হদিশ পাবি না…
কূল নাই… কিনার নাই… এ ভবপারাপার…
তারচে
একছিলিম সবজীর দম লাগা জীবনের টানে বেজে উঠ্— সা-ধু!
অভাবের সংসার হয়েছে তো কী ঋণের টাকায় ঘি খা, ভাবে থাক্!…
কেবল
সংশয়ে বেঁচে থাকা যায় না!...

বাদ্যবাধকতা

বাদ্য!
বাধ্য করে না আমাকে, আপনায় বেজে উঠি একতারায়!...
বাদ্য!
বাঁধে না আমাকে বাধ্যবাধকতায়…
নূপুরের কলতানে বেজে ওঠা উদাস দুপুর, দেখে চুপিসারে,
কোথায় উঠেছে বেজে মনের মন্দিরা,
ভেঙে শাসনের বেড়া!
বাঁশিটি বাজিছে কোন্ সে নদীর কূলে, বুঝতে পারে না, কি শাসন কি রাষ্ট্র...
বাদ্য! বাধ্য করে না আমাকে,
আপনায় বেজে ওঠে বাদ্যবাধকতা!
দেখি, ধুলোওড়া পথে ভোরের মেজাজ,
মিছিলে মিছিলে বেজে উঠছে
কিংবা
গোধূলির রঙলাগা আকাশের কোল ঘেঁষে দৃশ্যকল্পে ওড়া বলাকার ঝাঁক,
নীড়মুখী, কী এমন দলগত বাদ্যে!...

নদীটির নীড়ে,
বাকবাকুম বাকবাকুম অভিসারে মাতে
কৈতরাকৈতরী, জগতের এ আনন্দযজ্ঞ, বাদ্যবাধকতা,
                            বুঝতে পারে না, কি শাসন কি রাষ্ট্র...

ঝরাপাতার কবিতা


ঝরাপাতা,
উস্কে দেবো আগুন?...
দাহকালে
পোড়ে দেহ, পোড়ে কাঠ,
জ্বলে মহাকালচুলা।…
প্রার্থিত সবুজহারা নীড়মুখী,
বাতাস উড়িয়ে নেয় একটুকরা আগুন
ঝরাপাতা,
উস্কে দেবো ফাগুন?!...