পরমা প্রকৃতি জানে,
পরমপুরুষে, লিঙ্গের কাহানি জানে শিবের লাঙ্গল!
অকর্ষিত মাঠে
‘এই
থি-তি থি—তি’ বোলে
হালের বিছাল চষে হলরেখা,
মাটির জনন!
(শিল্প হল অর্দ্ধনারীশ্বর,
যাহার অর্দ্ধেক শিব…
অর্দ্ধেক পার্ব্বতী!...)
মন রে, কৃষিকাজ জানো
না, আনন্দসাধনে!
মেঘলা মনের চুম্বনে,
জল ঝরঝর বরিষণে অভিভূত
চারণ কৃষক কালিদাস,
মাটির শরীরে দেয় শস্যজ
ইশারা—
ভূঁইয়া
বর্ষায় নেবে ভূমির পরশ,
শ্রাবণে নিয়েছে পাঠ লাঙ্গলের ভাষা,
কতটা গভীরে ফলে শস্যজ
শ্যামশ্রী!
শ্যামলিমা দিয়েছে যে
মন
পলির নন্দনমাখা ভূমির
দখল, দখলিয়া নদীর কিনারে!...
দূর বনে
পাখিটা ডাকছে থেমে থেমে—
কৃষ+ণ… কৃষ+ই… কৃষ+টি...
আহা! কৃষ্ণ কোথায় রে? রাধা, ধারাপাত
পড়ে, লাঙ্গলের!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন