শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

পাসওয়ার্ড> জপমালা> তসবিহদানা


পাসওয়ার্ডে
তোমার নামের স-ব-ক-টি
বর্ণে
রূপ রস গন্ধে…
ওপেন করি, ওয়েব পোর্টাল, দিগন্তের পাতা!…
কী-প্যাডে
মিতালিমুখর (তোমার নামের)
স-ব-ক-টি বর্ণে জপি, নামসংকীর্ত্তন…
প্রিয় জপমালা
প্রিয় তসবিহদানা
প্রিয় (তোমার নামের) স-ব-ক-টি
অক্ষরের
নির্জন স্বাক্ষর,
উন্মোচিত পটভূমি,
ডব্লিওডব্লিওডব্লিও.সবুজপাতা.কম!…………
প্রিয়
পাসওয়ার্ড আমার, প্রিয় আরাধনা, সর্ব্বসুন্দরম্!…
পরশনে জীবনযাতনা!…
কী-প্যাডে
মিতালিমুখর (তোমার নামের)
স-ব-ক-টি বর্ণে ছড়িয়ে পড়ছি দিগ্-বিদিগ্
দরশনে!…

হা-হা-হা কিংবা হাহাকার


হা =
ফাঁকা মানে শূন্যতা বা স্পেস!
আমরা যখন হা-হা করে হাসি,
তখনো মুখের মাঝে
‘হা’ স্পেস হয়, মানে শূন্যতা বা ফাঁকা হয়!
আবার যখন
(কোনো বিষয় বিহনে) হাহাকার তৈরি হয়,
তখনো হা-হা আকার মানে শূন্যতা বা ফাঁকা তৈরি হয়!
আর সেই ফাঁকাটুকু ফাঁকি দিতে গিয়ে
যখনই তোমাকে মনে পড়ে,
হা-হা করে হেসে উঠি;
সহজে আড়াল করি তোমার শূন্যতা, হা-হা-কা-র!...
তবে,
হয়তোবা তুমি আছ অন্য কোনো পূর্ণিমায়,
পূর্ণাঙ্গ সুন্দরে,
ফাঁকার ভরাটে, পূর্ণতায়!...




ঠিকুজি


কোথাও যাওয়া হয়নি আমার এ পৃথিবী ছেড়ে! 
আমার এ সবুজ পৃথিবী ছাড়া আর কোনো ভিটেমাটি নেই!...

আমারও জাতীয়তা আছে,
বাঙালিয়ানার শ্যামদেশ আমার ঠিকুজি, পূর্ব্বপুরুষের!...
আমার কোনও জাতীয়তাবাদ নেই!
আমার কেবলই
পৃথিবীময় একটি ছাতা আছে!...
শুধু,
শাপলার দিকে তাকিয়ে বলি না, সু-ন্দ-র!
আমি
মাঠজুড়ে গোলাপ বকুল গাঁদা  
টগর চামেলি বেলি
বুনোফুলে ঢাকা বাগানের মর্ম্ম ভালোবাসি, ভালোবাসি বিনিসুতামালা…
এ মন
দোয়েলের শিসে মুখরিত হয়
যেমন,
তেমনই মুখরিত হয় অন্যকোনো তানে… গানে… ভালোবাসি
পাখপাখালির ঐ-ক-তা-ন!

আমার ধর্ম্মের নাম, মোহনা! যেখানে নদীরা এসে মিশে মিতালিপ্রবণ....

উদ্‌যাপনের কথামালা

একটু পিছাতে চাই/ পরান কথার নীড়ে/…
গতির লালিত্যে/
ধনুক
যেভাবে বেঁকে যায়/ পিছনের দিকে/…
কৃষ্ণকালা জানে/
পৃথিবীর কুরুক্ষেত্রে/
অর্জুনের/
পশ্চাদ্‌গমনে লুকায়িত ছিল/ মহাবীর/ কর্ণবধ/…
একটু পিছাতে চাই/ অন্ত্যজ মাটির কাঁচাসোনায়/ জেনে নিতে কর্ণের বেদনা/…
টা-ন-টা-ন/
ধনুকের ছিলাময়/
বুড়ো আঙুলের ইতিহাসে/ মর্ম্মের পোড়নে জেগে ওঠে একলব্যবিশ্ব/…
প্রাসাদের ভারবহ/
ক্ষমতা কেন্দ্রের খুঁটি/ মধ্যবিন্দু ছেড়ে/
নতুন সৌন্দর্য্যে সরে যায়/ প্রান্তরের দিকে/…
একটু পিছাতে চাই/ পরান কথার নীড়ে/
খনার
কর্ত্তিত জিহ্বা জানে/
কথার মালায় রচা/ বিনিসুতোমালা/ নিবিড় বন্ধনে বাঁধে/
উদ্‌যাপনের কথামালা/…




গণিত-অজ্ঞ


গণিতে ভীষণ কাঁচা আমি!
তবু
কী অবলীলায় বুঝে ফেলি চাহনির অনুপাত,
কত সমকোণ!...
কত ডিগ্রি এঙ্গেলে
জানালাটি ঝুঁকে আছে জানালাটির দিকে!...
মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছে বর্ষার নন্দনে... 
যদি 
একটি জানালা থাকত
তবে
দেখতে পেতাম, আরও জানালা,
জেগে আছে, দৃষ্টির দূরত্বে।...
                     খুউব দূরে না আবার দূরও আছে… এবং দৌড়ও আছে...
সম্পর্কপ্রাসাদে
মিতালিপ্রবণে পায়ে পায়ে ভাঙি
সিঁড়ি
বুঝে ফেলি,
মাটির নৈকট্য ছেড়ে
নীচ থেকে
উপরে ওঠার ভার 
যেন 
কাছের মানুষ ছেড়ে দূরে যাওয়ার বেদনা!...
অথবা
উপর থেকে নীচে
মাটির নৈকট্যে ফেরার ভারহীনতা 
যেন 
কাছের মানুষে
কাছের মানুষের কাছে ফেরার আনন্দ!...
এসবের 
মাধ্যাকর্ষণমূল্য = এক! 

পৃথিবীর পাঠশালায় প্রকৃতিস্য ছাত্র আমি, জীবনের প্রতিটি পাতায়, ফলাফল = শূন্য!
তবু
কী অবলীলায় বুঝে ফেলি, শূন্যের ভরত্বে লুকায়িত সংখ্যার লীলা—
যাহা শূন্য তাহা এক কিংবা অধিক...
মণিকাঞ্চনযোগিনী জানে,
১+১+১… = ১! 
অথবা   ১+২+৩… = ১!
একাধিপত্যের কেন্দ্রে  
শীর্ষ-
বিন্দুটির মনে
বৃত্তের জ্যামিতি পাড়ি দেয়া বৃত্তে আছে ভুবনডাঙার জয়মাল্য! 

অথচ
গণিতে ভীষণ কাঁচা আমি!...




সমবেদনা

তোমার মৃত্যুতে/
যে সমবেদনা বাক্যের বাগানে/
তার মাঝে/
বহুরৈখিক রাজনীতি আছে/…
আছে/
দৃষ্টির ভঙ্গিমা/
না বলা গল্পটির পেছনে/ আরও অনেক গল্পের পটভূমি/...
কত জল ঘোলা হয় বিশদ বর্ণনে/
জানে/ যমুনার মন/ আর খেয়াঘাটটির মাঝি/...
তোমার মৃত্যুতে যেমনই আছে/
অস্তপারে/ ডুবে যাওয়া দিবসের অবসান/
তেমনই অন্যবর্ণে/
সূর্য্যের উদয়/...
মাঝখানে রয়ে যায়/ জমাট আঁধার/
রাতের আঁচলে/ জোনাকির আলোজ্বলা বুদ্ধিবৃত্তি/
গুঞ্জনমুখর ঝিঁ-ঝিঁ-ঝাঁ-ঝাঁ/
কিংবা/
তারকার ঝি-কি-মি-কি নিস্তব্ধতা/...

মৃত্যুতেও রয়ে যাও তুমি/ রাজনীতিময়/...




মায়া


জীবনং শরণং গচ্ছামি/ অর্থং শরণং গচ্ছামি/...

মায়ার কাননে/ আমরা সবাই মায়া/ জীবনও/...
সুতরাং/
মাটির মিতালি ছেড়ে/ পাবে না কিছুই/…
এমনই/
বিজেতা কথার মালা/
পরিয়ে গলায়/ জীবন অরণ্যে/ হারাল আমাকে/ বোধের প্রতিমা/
মৃগয়ায়/
মায়ার সুতোয় রচা/ ধনুকের ছিলা থেকে ছোড়া তিরে/
পতিত দেখেই/
ডেকে ওঠে বোধের পায়রা/ ওঁম শান্তি/
বোধিগাছে/
শাখায় শাখায়/
ফুলের সৌরভে খেলে/ আমার চেতনাজুড়ে/ অপার জীবনানন্দ/…





অস্ফুট গোঙানি


আমি/ ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না/ আমি/ বাসা খুঁজে পাচ্ছি না/
পাচ্ছি না প্রযত্ন/
যাচ্ছি না তোমার কাছে/
কহিতে কথাটি/
ছলাৎ ছলাৎ/ জলের ভাষায়/ তুমি/
বয়ে যাও কোথা/
নদী/ বাঁকে বাঁকে রেখে যাও বাক/ কাহার লাগিয়া/
কূলের কাহনে গাঁথো/ বর্ণের মালাটি/
ফুটুক ফুটুক/ ভাষামুখী/ ঘ্রাণের কাহিনি রচে/
প্রতিদিন/
কতনা মুকুল ঝরছে বাগানে/…
ভাষাবাসামনে/
আমি/ ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না/ আমি/ আশা খুঁজে পাচ্ছি না/ কহিতে কথাটি/...



প্রতিভাষ্য


আপনার সাথে কথা বলার চেয়ে সিগারেট খাওয়া অনেক ভালো!
একটা
দেয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতে পারেন না, আর কিনা বলছেন,
জয়তু ইনকিলাব!
উঠা যাক, ঘনিয়ে আসছে সন্ধ্যা... প্রার্থিত রাতের পরে ভোরের আকাশে
হাসবে, লাল সালাম!
দেখবেন, সুখটানে পোড়া, অবশেষটুকু, কীভাবে পোড়াতে পারে
খড়ের গাদাটি, পউষ শীতের রাতে,
আলতো ঘর্ষণে ঘটে যেতে পারে, দেয়াশলাইয়ের একটি কাঠির গল্প!
বাতাসের যাত্রামুখীনতায়
গল্পটি এগিয়ে যেতে পারে অন্যান্য গাদার দিকে...
কেবল, একটি ঘর্ষণ... ধ-প!...
না পারাতে
যতটা বেদনা নেই, না জানাতে যতটুকু...  নিন, সিগারেট খান,
তারপর, সেমিনার, আলোচনা... তপস্য অগ্নির লঙ্কাকাণ্ডে জাগছে অযোধ্যা!...




ধুলোবালিসংসার


পাখি, যাবে নাকি উড়ে?
সায়ঙ নদীর তীরে,
রোদেলা সুখের ওমে,
   পথের বেদনা ভুলে,
                      বসব, সজনেগাছের ডালে।
মৃদু তরঙ্গে বহে না   
      স্নিগ্ধশোধন সলিল,
বুড়িগঙ্গাতীরে নামে
       নিশীথিনী অন্ধকার।
          চল, যাই ভেসে ভেসে…
দূর সুদূরের নীড়ে,
     কাঁদুক পিঞ্জিরা
                    কাঞ্চন বাঁশের দেহ।
ওপারে হাসে জলকণা
       সপ্তপদী প্রেম,
সবুজ ঘাসের দেশে শিশিরকণিকা
       কীর্তনিয়াতীরে
নিগূঢ় তিয়াসে যদি চাস দেবো
               ঠোঁটে ঠোঁটে কবোষ্ণ আদর।
            দিঘল পথের পরে
                                          ধুলোবালিসংসার।…





শ্যাম বাড়ি নেই


ফুলের সুরভি মাতোয়ারা চুলের সুরভি পেলে
আজও বলতে পারি : মরণ, একটু পরে এসো শ্যাম বাড়ি নেই!



বৃষ্টি ও তুমি


বাদলদিনের অভিবাদনায় বুঝলাম… যে কদম সে-ই বর্ষা… আমি অনুরাগ...

বৃষ্টির ফোঁটায় তুমি আছ,
বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা যেন তোমার চুম্বন!
ধুয়ে ধুয়ে মুছে নাও সকল বিষাদ… মেঘলা পাড়ায় থাকো,
বাঁচো,
ঝরো, ঝর ঝর ঝর, মাটির শরীরে, হও সবুজের গান…
বৃষ্টির ফোঁটায় তুমি আছ, বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা যেন তোমার চুম্বন!
বাদল দিনের প্রথম কদমফুলে
ডাকছি তোমাকে,
তৃষিত আমেজে, ভেজাও চৈতালি দাবদাহ,
দেহমনোতাপ।
গগনে গরজো বর্ষা নহে বর্শা...

একদা একটা মন
নাটোরের পথে পথে... মনের অরণ্যে... ভিজেছিল... সজল বর্ষায়,
ডেকে নিয়ে
মানকচু পাতার ছাতার নীচে,
বলেছিল কানে কানে : বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটায় আছে এক উদাসী কবির উপ-স্থিতি!...

ধামাচাপা


…………
ফিন্‌কি ফিন্‌কি লালে/ ভরে যাচ্ছে গোধূলি আকাশ/…

ধামা/ চাপা রাখল কোথায়/...
হবে না/
কখনো জানা/...
তারচে/
আমাকে এক বাটি শাক দাও/ নির্জন আহারে ঢেকে রাখি মাছ/...
পৃথিবী/
এই যাবৎ/ যা কিছু হয়েছে লেখা/
তাহা/ বিপরীতভাবে দেখা হলে/ কাহিনি বদলে যায়/
ইহা সহজাত/
সত্যম্ শিবম্ সুন্দরম্/...
আমিইবা/
কোথাকার/ কোন কাহিনির ধামা/
চাপা পড়ে বেচে(বেঁচে) আছি/ এই জীবনবাজারে/ এই মানবমানবীধামে/...

গ্রামপতনের ধ্বনি


...................................................................................
নাগরদোলায় দোলে নগরজীবন!
নাগরিকা, দেখে জানালায়, দূরদেশ— গ্রাম— হাতছানি!...
আর
প্রাসাদি শাড়ির কারুকাজে
ঢাকে দেহের সুষমা—
ফুল, পাখি, প্রজাপতি, বনানি, পাহাড়, নদী......
নাগরদোলায় দোল খেয়ে খেয়ে
আধোঘুমে ভাবে,
জলের সোহাগভরা কাঁখের কলসে পিপাসা মেটানো নদীর যুবক,
হাঁটে কুয়াশাঘেরা আড়ালে,
নদীবাংলার কূলে বাজে বাঁশি,
বাঁশির পরানে জাগে সুর— গ্রামপতনের ধ্বনি!
নাগরিকা জানে,
ইটের টোপর পরা নগরবাসরে জাগিবে আবার অর্দ্ধনারীশ্বর, নিয়ে যেতে তারে সবুজপ্রণয়ে!.....

উত্তর ফাল্গুন


……………………………………………
কে তুমি?
দক্ষিণে চলে যাও!
যাব আমি উত্তর পাড়ায়।
দক্ষিণপন্থায় মন নেই,
উত্তরায়ণের গর্ভে জন্মে নওল দিনের সখা, ‘পরিক্ষিৎ’ সময়ের ভাষ্য!...

ফিরে আসি,
আকাশসাগরে ভাসমান
মেঘের ভেলায় তিন দাঁড় বেয়ে,
উজানিয়া পালে ভরা
ধরিত্রীর বুকে জমা ক্রন্দিত নিশ্বাস!

মুই রঙিলা নায়ের মাঝি

ফিরে আসি,
মনের নির্যাসে জ্বেলে মঙ্গলপ্রদীপ
।…
ফিরে আসি, তীরে ভিড়ি,
মহাজাগতিক পথে ঘরহারা দুখে
ভুবনগাঁয়ে বসত গড়ি, মুই ফাল্গুনীর প্রতিবেশী,
ডান হাতে মম বিপন্ন বাঁশরি, বাম হাতে নওলদিনের ওহি!...
জাগি,
...চরাচরে
কর্ষণে
অভিকর্ষণে
নির্ম্মাণ হলে চারণভূমি,
আঁজলা ভরে নেব পিপাসার জল!...

সাহস


..................................
তাড়া আছে।
যাই...
সাহস, আসার কথা আছে!
হয়েছে সময়!
এখানে
ভালোও লাগছে না, যেন পরবাসী পরবাসী...
তাছাড়া
একে একে খসে পড়ছে সময়
প্রাসাদটা ধসে যাবে যে কোনো সময়!
বাতাস বলছে চুপিচুপি
প্রাসাদের মনে
বাগানে বাগান হয়ে ফোটা ফুলে ফুলে ওড়ে মৌমাছিরা,
দেখে না হালচাল!
ছিলাম অনেক...
যাই...
বাড়িটা বানাতে হবে...
আসছে সাহস
নতুন বাড়ির উপাদান!...

‘হিংসা’ পরম ধর্ম/ প্রকৃতির/...


জেনেছে ফ্রয়েড/
সুরভিত
/
ফুলের চারপাশে যে কাঁটা/ সে-ও চাকুর ঝকমারি/ বাঁচার আকুতিময়/...
গতিময়
/
নাচনমুখর
/ সাপের যে চলা/ দোলায়িত/
সেখানেও আছে
/ সৌন্দর্য্য ও ফণা/...
আর
/
মানুষের
/ সৌন্দর্য্যের ইতিহাসে/
হাতাহাতি
/ খামচাখামচি/ কামড়াকামড়ি/
কেবল রূপান্তরিত হয়েছে
/ হচ্ছে/ হবে/
(প্র)যুক্তি বান্ধবে
/
হাতের ইয়ারে
/ হাতিয়ারে/
প্রকৃতির স্বভাব কি মানুষ খণ্ডাতে পারে
/...
প্রকৃতি নিজেই বিকশিত
/ বিনাশের ধারাপাতে/ হিংসায়/...
বনবালা ইকো জানে
/
মানুষের মতবাদে
/ সংঘাতে/ বইছে জীবন/ ভারের সাম্যে/ ভাবের সাম্যে/...
যেহেতু
/
মানুষকে বধিতে পারে
/ কেবল মানুষ/...
শিবের ত্রিশূল জানে
/
ওঁম শান্তিময়
/
অহিংসার গান
/ কেবলই মায়াবী রোদন/
প্রেমজ বিতান
/...
ক্লান্তির ভ্রমণ শেষে খোঁজা
/ কাজলা দিঘির জল/ প্রশান্তির মায়া/...
কিংবা
/
তমসার আধারে দপ্ করে জ্বলে ওঠা
/ আলেয়ার আলো/...
ড্রোনাচার্য্য জানে/
এ জগৎ তরবারিময়
/ ট-গ্-ব-গ্ ট-গ্-ব-গ্/ ক্ষুরের নাচন/...
সমরশিল্পের মাঠ
/ বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মীঃ/...
               সৃজনের নন্দনকাননে/ যেদিকে তাকাই/ দেখি/ ‘হিংসা’ পরমধর্ম/ প্রকৃতির/...

সাড়া


...
উঁহু, ওভাবে না।
উলুর ভঙ্গিতে জিহ্বা নাড়াও!...
...
উঁউঁহু,
চুপচাপ না।...
...
আরও গভীরে যাও, খোঁজো, অর্থের ব্যঞ্জনা!...
এই যে দেখছ,
নদী...
বয়ে চলা জলের গুঞ্জন...
কাশবন...
বাতাসের আলাপনে বাজে  শ-ন্-শ-ন্...
শুনছ,
পাহাড়ের সানুদেশ বেয়ে নামা জলপতনের গান!—
এই
পাড়াটির নাম, সাড়া!
জাগানিয়া মনে
সুতরাং
বেজে উঠুক না ধ্বনির কাকলি, উলুময়!...
...
মর্ম্মর
মর্ম্মর তানে
ভাঙছে,
গড়ছে, এই শব্দবিশ্ব!...
ও-লা-ই-লা!...

বিকল্প তরবারির প্রস্তাবনা

……………
বিকল্পের ‘প’ ধরে করছ কেন টানাটানি?
বি(শেষ)কল্পে যে নদী বহে
তুমি কীভাবে আটকাবে তার বাঁক?
ভাঙাগড়া (সং)সারে
নদী
বইছে তবুও… বিকল্পায়নের বাঁকে বাঁকে…
ইহা
সৃজনের আদিবাদ, আদ্যাশক্তি!
বিকল্পায়নের বাঁকে বাঁকে…
ইদানীং
আমার খুউব ঘুম পাচ্ছে!
চোখের পাতায়
বসে থাকে ঘুমপাড়ানিয়া পিসি।
দেখি ঘুমঘোরে
লোকটা
‘বিকল্প তরবারির প্রস্তাবনা’ পাঠ করছেন, করতালিমুখর মঞ্চে!...
দুলি ঘুমঘোরে
বিড়বিড় জপি—
দোলনা, দোল না, দোল। দোদোল দোদোল দোল…
দোলনচাঁপার বনে,
ঘুমে জাগরণে
(আন)দোলনের দোলা।—
দোদোল দোদোল দোলে দোলযাত্রা,
কাঠামোর মনে!...

দোলনা,
পুবালি বাতাসে
দোল না, বিকল্পপুরাণে!

ওড়না, উড় না, বিকল্পায়নের পতাকায়!...

মুখশ্রী


………………………….
দৃশ্যমান
সকল কিছুই প্রকৃতির মুখোশ ও লীলা, তবু, কতনা মুখশ্রী
খোঁজে প্রিয়মুখ!
মানুষ ভজলে সোনার মানুষ পাব না হে;
পরশপাথরে
কেমন সে রূপ, সময়ে সময়ে বদলায়, রংতুলিময় কালের পরশে,
মানুষসকল প্রকৃতির মুখোশ, মুখশ্রী!......................
উৎসের মর্ম্ম থেকে জেগে ওঠা রূপনগরের কূলে,
এই জীবনবিতান,
নানান রঙের মুখের মুখোশে কেবলই অভিনয়;
সাপ হয়ে কাটা ওঝা হয়ে ঝাড়া,
না আশরাফ, না আতরাফ,
সকলই মখলুকাত, মুখ ও মুখোশ, প্রকৃতির!..............
বন্ধু, শুভেচ্ছা তোমাকে, জন্মযাত্রার!
বন্ধু, শুভেচ্ছা তোমাকে, জীবননাট্যের! বন্ধু, শুভেচ্ছা তোমাকে, মুখোশের, মুখশ্রীর!...

বৃক্ষ


.......................
বুকের জমিন রাঙা বীজতলা, নিড়ানি চালায় মদন মোহন, লাগে দোলা!...

ইদানীং
ফাগুনের ঝিরিঝিরি হাওয়ায়
বকুলফুলের
একটি চারার বেড়ে ওঠা
অনুভূত হচ্ছে বাম বুকে
একটু একটু গজায় শিকড়
মধুর ব্যথায় কাটছে সময়,
কী যে ক-রি
আরো অনুভূত হচ্ছে
যতনযাতনা
নিপুণ পরিচর্য্যার বাগানবিলাস...
বাগানবিলাস...
চিকচিক রোদের পরশমাখা কোমল পাতায় হাসে
একটি গোপন হাসি
হাসির গোপন কথা :
দেখো,
কীভাবে রচনা করি
লতাপাতাঘেরা মধুর বাসর…

আদেহ দখলে নেবে চারা,
লীনার্ত সময়ে হবে বৃক্ষ, প্রকৃতিশোভিত সংসারে! যার নীচে বসে, সুজন বাজাবে বাঁশি, রাধার বিহনে...