দূর
নগরীর উপকণ্ঠে…
প্রাসাদোপম,
সু-রম্য, অট্টালিকার মালিক, গুঞ্জন চৌধুরী।...
লোকটার
দূরের
বিজন গাঁয়ে দুচালা বসতবাড়ি!
তিনি,
ঝুমবর্ষায়
টিনের
চালায় রিমঝিম রিমঝিম বর্ষার পাঁচালি ভালোবাসে।
ভালোবাসে
জানালায়
চোখের
আলোয় দেখা,
মেঘলার
বর্ষার
কলস থেকে উপচানো জলে
কাজলাঙ্গ
প্রেমার্দ্র
মাটিতে ভেজা তৃষ্ণার বাগান!...
পড়েছেন
সাগরসৈকতে
বসে, ফেনিল জলরাশি ছুঁয়ে থাকা আকাশপাতায়,
সন্ধ্যার
ভাষায় লেখা গোধূলির চিঠি,
রাতের
মনন থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসা ভোরের কবিতা— সূর্যোদয়!
হেঁটেছেন,
গদ্যমুখরিত
পথে;
পড়েছেন
পথের প্রবন্ধ, গল্প, নাটিকা,...
সময়
কাটান,
ফুলের
সাথে, পাখির সাথে, কথা বলেন প্রকৃতির ভাষায়!...
লোকটাকে
নিয়ে গুঞ্জন শোনা যায়
সন্ধ্যার
বাতাসে,
‘কৃষ্ণাদ্বাদশীর
চাঁদের আলোয়,
উজ্জয়নীপুরে,
অজন্তা
ইলোরার গুহাময় সু-রম্য প্রাসাদ,
যেনবা
‘হারানো
হিয়ার নিকুঞ্জ!’ এটুকু’র আস্বাদনে,
মাঝে
মাঝে অবকাশ যাপন করেন, দূর নগরীর প্রাসাদোপম অট্টালিকায়।....
লোকটার
দেখা
পেলে ভালো লাগে, মনের ভিতরে জাগে আনন্দসদন,......
এইটুকু
আমার
আনন্দ,
আনন্দের
সংজ্ঞা জানি না,
জানি,
আনন্দের
সীমা নেই, আছে কেবলই ঠিকানা,...
লোকটার
দেখা
পেলে ভালো লাগে, লোকে বলে, যিনি কিনা আজন্ম পাগল!
একদিন,
ভুবনডাঙার
মেলায়, সাক্ষাতে,
বলেছিল
:
খ্যাপা,
পাগলের দেখা ছাড়া প্রতিভার সন্ধান মেলে না!...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন