বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ফুলেরা পোশাক পরে না

........................................................................................................

প্রথম প্রকাশ : আগষ্ট ২০১৮

প্রকাশক— মনফকিরা

.................................................................................................................................................

‘লেখা’ শব্দটি ক্রিয়া। ক্রিয়া ব্যতীত কোন মানুষ নেই, এমনকী প্রকৃতিজগতে অন্যান্য প্রাণীও। এই ব্রহ্মাণ্ড ক্রিয়াশীল… সচলতা ছাড়া জীবন চলে না! আর এই লেখালিখি/ক্রিয়া বিষয়টার সাথে, মনের মাজারে নড়নচড়নমনা বাউলটার (নন্দনতাত্ত্বিক) মরম যাতনা আছে! যার মর্ম্মে কানাকানি জানাজানি করে জীবনপ্রকৃতি, তার কাঙ্ক্ষা— প্রাপ্তি ও হতাশার দ্বান্দ্বিক মিথষ্ক্রিয়ায় যে রসটুকু বের হয়ে আসে তারই সার এই লেখা! এই লেখালেখি “আড়াই অক্ষরে” বলা যেতে পারে নিজেকে/প্রকৃতিকে বিনির্ম্মাণ কিংবা প্রকাশ…

আর এই প্রকাশতত্ত্বের পথে (দীর্ঘ ২৪ বৎসরের বাক্যচর্চ্চার সারমর্ম্ম) ‘ফুলেরা পোশাক পরে না’ প্রথম পদক্ষেপ… যেখানে ১৭৮টি কবিতায় (পুরুষবাদিতা কিংবা নারীবাদিতার বিপরীতে) ধরতে চাওয়া হয়েছে এমন এক (নন্দনতাত্ত্বিক) অভিসন্দর্শন— মর্ম্মটুকু এই: 
শিল্প হল অর্দ্ধনারীশ্বর, যাহার অর্দ্ধেক শিব… অর্দ্ধেক পার্ব্বতী!...

এই বইদেশে ভূমিকা না করে ভিতরে ঢোকেন… এটুকু কেবলি ইঙ্গিত, এর পাতায় পাতায় ভাঁজে ভাঁজে লুক্কায়িত মর্ম্মকে জানতে পাঠ করুন, নক্‌শিকথায় বোনা সুতোর কাহন… উদ্‌যাপনের কথামালা… বাংলাসাহিত্যের অর্দ্ধনারীশ্বরকাণ্ড… বিশ্বদৃষ্টির পরম্পরা… ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতাবাদী এককের বিপরীতে সমগ্রতার যুক্তাঞ্চল!… 
যার 
রচয়িতা মারা গেছে সৃজন বর্ষায়, খুঁজেও পাবেন না তাহাকে জলের বাসরে…


..............................................
সূচিপত্র

............................................

বাঁক
কম কথার মানুষ
চাঁপাফুল
নবনীতা জলের বোধন
পরিবর্ত্তনা চৌধুরানি
শরীর শরীফ
লাঙ্গলবান্ধব
দণ্ডনীতি
একটুখানি পরিচয়
দাঁড়াও হে লাল
ভাড়া-টিয়া
সান্ধ্যখবর পত্রিকার হেডলাইন
নঁক্‌শিকথায় বোনা সুতোর কাহন, ফুলতোলা গাথা— প্রতি আজাজিল
ফুলেরা পোশাক পরে না
চোরাবালিকেন্দ্র
Ling(uistic) Shiva
সংশয় আছে
মিথিলা বোমাং
অপরাধ বিষয়ক
মনিহার
দ্বন্দ্ব/ বন্ধ করো না জানালা
কেবল সংশয়ে বেঁচে থাকা যায় না
বাদ্যবাধকতা
ঝরাপাতার কবিতা
যুক্তবর্ণা
শতনেত্রা উপমার আনারস
জ্যা, মিতি ও সৃজন
অভিবাসী মেঘ
কুশল
ফুলেরা পোশাক পরে না
কোরবানি
সবুজ পাতার মূল্যবোধ
আলো ও আঁধার
শারীরিক
সময়তাড়িত কথামালা
অনিশ্চয়তাতত্ত্বের সুতোয় ঝুলে আছে সোনার আপেল
সবুজ সংকেত
চন্দনা
ফাঁসির দড়ির গোলাকার চাঁদ
নার্সিসাসের আয়না
লাল বার্ত্তা
ঢোল
কলাবতী ফুল জানে
কল্কেকাহন
শাকাম্ভরী
বৈশাখ ফিরতিপথের সখা
মিডিয়া
বলুন কী ‘ভাবে’ তুমি করে বলি
উত্তর সাময়িকী
কালাগাছি ও শ্যামলা কলসি
পেরেস্ত্রোইকা গোধূলিসন্ধির নৃত্য
খবরটা পেয়ে যাবি পাখিশুমারি লগনে
শূন্যের মঞ্জিল
একটি সাদা রুমাল একটি তারকা
জীবনপাগলা
রোদনের পদাবলি
অধরা আনন্দ
রঙিলা প্যাঁচাল
অ্যাস্ট্রাইয়া বিপন্ন ক্রন্দনধ্বনি
লালবাগ
তালে ও বেতালে
আমি ও গোলাপ আত্মপক্ষ সমর্থন
(অ)প্রচল কবিতা
জলদাস ও রজকিনী মাছ
শূন্য সংখ্যার মালা
বসন্ত কি আসি আসি
পেয়ারামুখর খুকি ও কাঠবিড়ালিমন
ছাগলমশাই জানে
জীবনানন্দের খোঁজে
ভিখারি ও অর্থনীতি মুখোপাধ্যায়
দেয়াল ও গণচুচু
পাগলের পাগলদর্শন
মুলা মূল্যের কবিতা
মায়াবাড়ি পাঠশালা
সত্য এক টুকরা কাবাব
বাঁশি
বাদলের উকুনকাহিনি
টোকা
ঘর বাহির একটি গল্পের রূপরেখা
শিমুলফুলের রাষ্ট্রে তার সাথে দেখা
ক্রীড়া বাঘ না শাপলা
জানালা, উদাসী বাতাস ও মিস্টিক ঘ্রাণ
বেলুন উৎসব
বৃষ্টি
খোঁচা
বইসাঁকো
ভারতী লাল কিলিপ কড়চা
নাম
শিল্পের দূরত্ব
চুমুফল
বকুলগাথা
শিল্প, প্রতিশিল্প
চিত্রকল্প
পাঠ সোনালি ভোরের অনুবাদ
স্বরূপের কাছে
রাঘব> বোয়াল
জীবনানন্দের ঘাস
তরবারিনামা
শব্দগ্রাম
গণেশ অবিসংবাদিত গোলাপ
চিৎপুরের কড়চা
লোপামুদ্রা
চিনিফানা
চিঠি শ্রী চৈতন্য বরাবরে
রাজাকার
ধৃত-রাষ্ট্রের প্রার্থনা
গাজী ভঙ্গি শাহ
ফানাফিল্লাহ
কদমবিলাস
ক্রসফায়ারে ধৃতরাষ্ট্র
পাসওয়ার্ড> জপমালা> তসবিহদানা
হা-হা-হা কিংবা হাহাকার
ঠিকুজি
উদ্‌যাপনের কথামালা
গণিত-অজ্ঞ
সমবেদনা
মায়া
অস্ফুট গোঙানি
প্রতিভাষ্য
ধুলোবালিসংসার
শ্যাম বাড়ি নেই
বৃষ্টি ও তুমি
ধামাচাপা
গ্রামপতনের ধ্বনি
উত্তর ফাল্গুন
সাহস
‘হিংসা’ পরম ধর্ম্ম/ প্রকৃতির/...
সাড়া
বিকল্প তরবারির প্রস্তাবনা
মুখশ্রী
বৃক্ষ
আমি ও ফড়িং
কবিরাজ শ্যামল বৈদ্যের শিকড়ভাবনা
মায়াবাড়ি পাঠশালা
রিমঝিম রায় ও জলের চাতক পঙ্‌ক্তি
নটরাজ
সবুজ পাতার সাথে পেতেছি বন্ধুতা
আধার ও আধেয়
বৃত্তচারী
চাকুরে
প্রতি-আবাহন
খেলা
ছায়া
গাধা
সুন্দরী সরিষাফুল
(প্রতি)বেদন
সবুজসম্ভবা
গুঞ্জন চৌধুরী
(আ)কামের পৃথিবী
ছড়ায় ছড়ায় বিয়ে
বাজারফেরত একটি কবিতা
বাহিরানা
স্বাক্ষর
কলার বাজার
জল
নদীতীর, ছবির মিছিল ও একটা লোক…
দাম্পত্যকাহন
খণ্ড খণ্ড লড়াইয়ের অখণ্ড হৃদয়গাথা
বর্ণচ্যুতি ও অন্যান্য...
নন্দনের প্রাসাদভাবনা
বাক্যবীণা
গোলাপত্ব
বৃক্ষলতা
মৃত্তিকা, দ্বিধা হও
কাজলা গাঁয়ের কবিতাকে নিয়ে একটুখানি কাব্য
গহন গোপন কথা
বাঁশকাব্য
বাঁশকোঁড়ল
লাঠি
সাপ আর বাঁশ
ফুলের কড়চা
ঝাঁকা
প্রস্তাবনা
সংলাপ
স্পর্ধা
তিলোত্তমা

প্রপিতামহের ছাতা
যুক্তাঞ্চল

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বাঁক

আঁ-কা-বাঁ-কা
সবুজ মাঠের পথ ধরে হেঁটেছি কেবল, উজান ভাটির ব্যাকরণে
শুনি নাই
জলের কাকলি।(…)
এটুকু বুঝিনি, কতটা আঘাত পেলে বাঁক নেয় নদীটির মন,
অভিমানে সরে সরে যায় নদীয়ার কূলে,
জলজ ভাষায় ভেসে ভেসে যায় কাঁখের কলসি,
কূলের কথনে ভেসে ভেসে যায় ঘাটের কাহন, মরমিয়াগাথা...
মন,
বাঁকানোর আগে ভালো করে জানো,
কতটা বাঁকালে বাঁক খায় শ্যামল কটাক্ষভরা চোখের ধনুক,
শরের যোজনা থেকে পলকে পালায় বাক্যের হরিণ!
কথার কাননে
কী ‘ভাবে’ বাঁকাবে সাধের জীবন;
তাহার বয়ানে জানো,
              পথের আদলে বহা নদীটির আঁ-কা-বাঁ-কা ইতিহাস!...



কম কথার মানুষ

সাধুটি/
একসময়/
আমার কাছে এসে/
কানে কানে বলেছিলেন/
শব্দই/
পরম ব্রহ্ম/
অপচয় করো না/...
সেই থেকে আমি/ কম কথার মানুষ/
ইশারায়/
ইঙ্গিতে/
চোখের ভাষায় কথা বলি/
শব্দ করি না/
বলছি তবুও/
রঙিন কথার ফুলঝুরি/...


চাঁপাফুল


নহে চাপাবাজ/
এই বলে খ্যাত হোক/ মম নাম চাঁপাফুল/...

ইটের ফোকর থেকে/
সূ্র্য্যের আলোর দিকে উঁকি দেয়া/
চাপাপড়া/
সাদা সাদা ঘাস জানে/
থরে ও বিথরে ফুটি বর্ষার ইন্ধনে/...

দলিত কথার জিহ্বায়/ বোঁটায়/
এই বলে খ্যাত হোক/ মম নাম চাঁপাফুল/ নহে চাপাবাজ/...


নবনীতা জলের বোধন

নবনীতা 
জলের বোধনে যে নিজেকে ভেজায় না,
সে
সংঘাতকে জাগাতে জানে না!...
যে সংঘাতকে ভালোবাসে না, সে সম্ভাবনাকে বলতে পারে না,
ভা-লো-বা-সি!...
ভুল ও ফুলের
গলায় গলায় ভাব,
পরাগায়নটুকুর অনুধ্যানে হতে পারে না পথের সমাজদার!...
এইটুকু
ভেবে ভেবে হাঁটছিলাম, মৌমাছির ইন্ধনে!...
হঠাৎ মনে হলো,
[............................]
তুমি
যে শূন্যস্থানটুকু পূর্ণ না-করে চলে গেছ, সেখানে লিখেছিলাম, সম্ভাবনা...
শুভ,
দ্বন্দ্ব-সংকুল পথে যেতে যেতে
ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছি সংঘাতে, পরিপার্শ্ববিশ্বে!...

পরিবর্ত্তনা চৌধুরানি

জংলা নদীর ধারে
ধ্যানী বক,
আমাকে ধর্ম্মের শিক্ষা দেয়,
কেমন ভাবের মর্ম্মে
দাঁড়িয়ে থাকতে হয়,
এক পায়ে;
যেমনটি আছে মাননীয় তালগাছ!
পাঠশালা,
ধর্ম্মশিক্ষা জানে,
বারবার
লাড্ডু খাওয়া আমি!
রসার্থে সন্ধান করি
ভবাপাগলার মালাই বিতান!
মাড়াই পথের মোড়
নিতাইগঞ্জের।
জংলা নদীর ধারে
(ধ্যানী বক
করমে ন জানে ধরম বিতান!)
অকূলে বাজে গো বাঁশি
: ওহো
জয়ো রাধা> ধারা...
ভাঙাগড়া
নদীটির মনে
বহতা সুরের ঢেউউউ…
কাঁখের কলসে বাজে
ছলাৎ… ছলাৎ… পরিবর্ত্তনা চৌধুরানি!



শরীর শরীফ

শরীর
কেবল শরীর না, ইহা শরীর শরীফ!...
শরীর শরীফবিহীন হয় না প্রেম,
মজে না মজমা!
মন হলো
শারীরিক রসায়নের নূর-এ-কেবলা, আশেকান!
অতএব
নত হও ইবাদতে,
আচমন করো শরীরসমগ্র/জলজপ্রপাত!
মুর্শিদ,
বাহো ত্বরী, বাহো গো ত্বরি-কা,
লবণের অপার রহস্য খুঁজে পাবে শরীরসমুদ্রে!...



লাঙ্গলবান্ধব

পরমা প্রকৃতি জানে, পরমপুরুষে, লিঙ্গের কাহানি জানে শিবের লাঙ্গল!
অকর্ষিত মাঠে
‘এই
থি-তি থিতি’ বোলে
হালের বিছাল চষে হলরেখা, মাটির জনন!
(শিল্প হল অর্দ্ধনারীশ্বর, যাহার অর্দ্ধেক শিব
অর্দ্ধেক পার্ব্বতী!...)
মন রে, কৃষিকাজ জানো না, আনন্দসাধনে!
মেঘলা মনের চুম্‌বনে, জল ঝরঝর বরিষণে অভিভূত
চারণ কৃষক কালিদাস,
মাটির শরীরে দেয় শস্যজ ইশারা
ভূঁইয়া
বর্ষায় নেবে ভূমির পরশ, শ্রাবণে নিয়েছে পাঠ লাঙ্গলের ভাষা,
কতটা গভীরে ফলে শস্যজ শ্যামশ্রী!
শ্যামলিমা দিয়েছে যে মন
পলির নন্দনমাখা ভূমির দখল, দখলিয়া নদীর কিনারে!...
দূর বনে
পাখিটা ডাকছে থেমে থেমে
       কৃষ+ণ… কৃষ+ই… কৃষ+টি...

                  আহা! কৃষ্ণ কোথায় রে? রাধা, ধারাপাত পড়ে, লাঙ্গলের!


দণ্ডনীতি

‘গুরু’ সংখ্যায় লঘু, অথচ গুরু(ত্ব)বহ!
লঘুত্বের অপমান দেখে গুরু নির্ব্বিকার কেন?...
...
গুরুবাদী সংখ্যারা
ভয়ানক
কি জলে কি স্থলে!
চলছে চৌদিকে, লঘু-পাপে গুরুদণ্ড!...
অথচ ঈশ্বর, কী দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী সংখ্যালঘু!...



একটুখানি পরিচয়


বাপু,
এত সাদাকথা কও ক্যানে? একটু শ্যামলকথা কও,
অব্যক্ত বর্ষায় জুড়াক পরান!...
লোকমুখে শোনো নাই— এইখানে রমণীরা নয়ন পিঞ্জরে পোষে শ্যামসুখপাখি?
মওলার ইশকুলে পড়ো নাই— আমরা যে শ্যামলবরন জাতি?

সাদা না,
শ্যামল মনের মানস আমি;
দেখি, সময়ে সময়ে রং বদলায় প্রকৃতি ও প্রেম
এবং জীবন!
আরও দেখি, বিমুখ প্রান্তরে
আমারই মাঝে কারা যেন বলে ওঠে,
কালো হাত ভেঙে দাও!
যদিচ
নীরব কুটিরে
ঝুপ্... ঝুপ্... ঝুপ্...
নেমেছে উপনিবেশ, সাদা!
জানালায়
তাকিয়ে আছেন, আপনি, কোন মনের মানস?
মানসনন্দনে কেবল রঙের ছড়াছড়ি

দেখা হয় নাই নয়ন মেলিয়া, আড়ালে আড়ালে কে কাকে মাখায় রং!...

দাঁড়াও হে লাল

দাঁড়াও হে লাল/ এখানে দাঁড়াতে হয়/ এখানে হয়ত কিছু রয়ে গেছে/
নিবিড় বন্ধনে/
হৃদয়পুর থেকে মেহেরপুর/ যেতে যেতে দেখা/
সবুজের মাঝে/ লালের মাধুরী/ ধীরে ধীরে উঠে আসে/
সূর্য্যের স্বাক্ষরে/
সবুজের মাঝে মিশে মিশে/ লাল/ কতটুকু লাল থাকে/ জানে চিত্রলেখা/
দাঁড়াও হে লাল/
এখানে দাঁড়াতে হয়/ নিবিড় বন্ধনে/ দাঁড়াও চে/ একটু দাঁড়াও/ দাঁড়াও না ভাই/...

ভাড়া-টিয়া


পৃথিবী আমার মাটি, বাড়ি, শূন্যতা ছাউনি তার!

বাড়িটি তোমার নয়, তুমি ভাড়া-টিয়া, বাড়িহারা!
এমত কথার জীবনযাপনে,
আমার কোনও মাটি নেই! হাস্নাহেনার ঘ্রাণ ডাকেনি আমাকে
রাতের নির্জনে, ব্যালকনির হৃদয়ে।…
এই
নগরবিতানে,
শহরের কোলে, আমি মাটিহারা!
অথচ, সজল-বর্ষা-নামা মনের মাটিতে শিকড় গজায় কদমের চারা;
আমার কোনও শিকড়ের গান নেই!
ভূমির দস্যুতা শিখি নাই,
ভাবছি, বর্ষায় শিখে নেবো, শিকড়ের গান, সুষম বন্ধনে...
আজ
কাঁদায় আমাকে ঘাসফুলটির মাটি আছে,
আছে ফুটে থাকা সহজতা, আমার কোনও সহজতা নেই, প্রেম নেই!...



সান্ধ্যখবর / পত্রিকার হেডলাইন


সান্ধ্যখবর পত্রিকার হেডলাইন


সবুজ পাতার মিছিলের নীচে চাপা পড়ে মারা গেছে জীবন চৌধুরী।…
নজরদারিতে সবুজ সদন।… চোখবন্দি শ্রীমতি সবুজ পাতা।…
কারফিউ।… বন্দুকের ঘেউ ঘেউ।…
ঘুরছে কেউকাটা, টিকটিকি, ফেউ।… থেমে থেমে গেয়ে ওঠে গান, রাইফেল, স্টেনগান।…
পথে পথে ছড়িয়ে পড়ছে জরুরি সন্ত্রাস, গুপ্তহত্যা, রক্তজবার আহাজারি।…
হলুদসংঘ সদর ভবনের সামনে একঝাঁক তরুণের লিঙ্গ প্রদর্শন, লাঠিচার্জ।…
নিষেধ, বাহিরে আসা, কবরের ভিতরে থাকুন, পরবর্ত্তী ঘোষণা অবধি… বন্ধ পাখিদের পাঠশালা,
সবুজ পাতার পাঠশালা।…
নিষিদ্ধ ফুলের ঘ্রাণ, হাসি।… ‘মাত্রা’ দেখায়, দেখামাত্র হিম উদ্গীরণ, নো ম্যানস্, নো কমেন্টস্।…

নক্‌শিকথায় বোনা সুতোর কাহন, ফুলতোলা গাথা, প্রতি আজাজিল


প্রতিবীর,
আপনার লাগি মনে জাগে সহজ নামাজ! জীবনের উদ্ভাসে জাগা ভোরের ট্র্যাজেডি,
নয়নের জল
অনুবাদে, ঘাসের ডগায় জমে ফোঁটা ফোঁটা শিশিরের কান্না 
শোকরানা!
পাপের বিকাশে লুকায়িত ছিল, প্রবর্ত্তনা> মানবজীবন!
জ্ঞানবৃক্ষে
নিষিদ্ধ গন্দম না দেখালে মেলত না পাপড়ি> আদম ও হাওয়ার উপাখ্যান,
ছেলেটিকে দেখে মেয়েটির মনে ফুটত না কভু অনুরাগের বকুল,
সোনাঝরা ভোরে
নিশীথিনী আঁধারের সমাপনে মাওলানা বুলবুল গেয়ে উঠত না ভোরের আজান> সঙ্গীত>
প্রভুর প্রার্থনা... 
আপনা বিকাশে লুকায়িত ছিল পাথরের বুক চিরে নামা ঝর্ণা> নদী> সাগরের জল!
কালার বাঁশির সুরে
জীবনচরিত নদীটির বাঁকে বাঁকে বেজে ওঠা রাধিকার মন...
যত মত তত পথবাদে
মানবের
মন ও মননে খেলা করে ড. জেকিল, মি. হাইড কিংবা হাবিল কাবিল
ধন্য,
মানবজীবন বয়ে চলো, সাধের ত্বরণি পাবে না রে আরবাউলিয়ানায় গেয়ে ওঠে
পথের চৈতন্য, সাঁইজি লালন
পাখি সব করে রব আপনা কীর্ত্তনে!...
আপনাকে নমি, সহজ নামাজে… সৃজনব্যথায় জাগে ঝিনুকের কাতরতামুক্তার সুখজ সম্ভাবনা!
.................................
এইসব, 
কথার ফাল্গুন, সুরে সুরে বেজে ওঠে ভোরের বাঁশিতে, গাছের শাখায়, ফুলফোটা ভারে!